‘কথামালা’
ইদানীং নদীর পাশে বসে জীবন দেখি।
মেঘকাটা রোদ্দুর জলে খলবল করে,বালিহাঁসের পালক ছুঁয়ে যায় জলে।
এই নদী সেই জল জানে কোথাকার পানিচিঠি বুকে ঢেউ তোলে,
কোথাকার ছিটেফোটা পাথর,বালি,জলনৌকায় পেরুই নটিক্যাল মাইল পথ।
হিসেব কষি,কতোদিন বালিহাঁসে ছুঁয়ে গেছে চিটচিটে শেওলাজল দাগ।
কতোদিন জলরঙ মিশে গেছে এই নদীপাড়।
হায় অরুণিমা! তুই নেই তাতে কি?
ঐসব আকাশ আকাশ হিসেবের চেয়েও বেশি,
আমাদের জীবনের কথামালা ধানভানা রোদ্দুরে মিলেমিশে শুনি।
****
‘জ্যামিতি’
এখন জ্যামিতির ধারায় বড় জঞ্জাল
একান্নবর্তী ভাঙে মাটির সীমান্তে আজকাল।
গহীনের টানাপোড়ন দেখে,ভোরের ঘুঘুপাখিও সুরকাটে এপাড়ায়,
নবান্নের রসিক দাদুরও হাসফাঁসে বুকফেটে যায়।
বুকের ওমে শিশুমন সুখে উতলা বাড়ি
কিভাবে দূরপাল্লায় তুলে দেয় জ্যামিতি!
চুয়ে চুয়ে জল মমতার দৃশ্যপট আঁকে মাটির কলসি,
বিন্নিধানের খৈ মুখে তা দেখেও সেই গল্পবাজ আজ আনাড়ি।
যমুনার বানের মতোন,ভাঙছে ভীষণ মানুষের মন
পিতার বুকের ওম কেটে দেয় বেয়াকুব সন্তান
হায়!পৃথিবী!
মোহো মোহো পৃথিবী
আসল সুখ ভুলে নিয়ে যাচ্ছে কি মানবিক জ্যামিতি?
****